টিমে সুযোগ না পাওয়ায় অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটারের আত্মহত্যা!

টিমে সুযোগ না পাওয়ায় অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটারের আত্মহত্যা!

টিমে সুযোগ না পাওয়ায় অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটারের আত্মহত্যা!

অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলের স্ট্যান্ডবাই সদস্য তরুণ ক্রিকেটার সজীবুল ইসলাম সজীব (২২) আত্মহত্যা করেছেন! পরিবারের দাবি, আসন্ন বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে সুযোগ না পাওয়ার হতাশা থেকেই তিনি এই কাণ্ড করেছেন।

সজীব জাতীয় টিম অনূর্ধ্ব ১৫, ১৭ ও ১৯ দলের খেলোয়াড় ছিলেন। বিদেশের মাটিতেও খেলেছেন। সজীব রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার ঝালুকা গ্রামের মুরসেদ আলীর ছেলে।

সজীবের স্বজনেরা দাবি করেছেন, আসন্ন বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে সুযোগ না পাওয়ার হতাশা থেকেই তিনি এই কাণ্ড করেছেন। তবে বিষয়টি এরকম মনে করছেন না বিসিবি পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন।

সজীবের বড় ভাই তশিকুল ইসলাম জানান, ক্রিকেট খেলার প্রতি অনেক আগ্রহ সজীবের। খেলার জন্য বকাও খেতে হয়েছে পরিবারের কাছে। এক সময় সে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত খেলোয়াড় হিসেবে গড়ে তুলতে ভর্তি হয় রাজশাহী কাটাখালী বাংলা ট্র্যাক নামের ক্রিকেট একাডেমিতে। এরপর শুরু হয় তার সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া।

এক-এক করে তিনি জাতীয় দলের অনূর্ধ্ব ১৫, ১৭ ও ১৯ দলে খেলেছেন। তিনি অনূর্ধ্ব-১৯ জাতীয় দলের খেলোয়াড় হয়ে শ্রীলঙ্কার মাটিতে বেশ কয়েকটি দলের সঙ্গে খেলেছেন। ভারতের বিপক্ষে ব্যাট করে সেই ম্যাচে সর্বোচ্চ ৯৫ রান সংগ্রহ করে। যা দলের মধ্যে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী ছিলেন। সাম্প্রতিক সময়ে সজীব বঙ্গবন্ধু টি-২০ কাপে খেলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। অংশগ্রহণের জন্য সব পরীক্ষাও দিয়েছিলেন তিনি। গত ১৩ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু টি-২০ কাপে উত্তীর্ণ খেলোয়াড়দের তালিকায় প্রকাশ করা হয়। ওই তালিকায় তার নাম না থাকায় হতাশ হয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নেন।

সজীব সবার অজান্তে শনিবার (১৪ নভেম্বর) রাতে নিজ ঘরে গলায় রশি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। রোববার সকালে তার পরিবারের সদস্যরা সজীবকে ডাকতে থাকেন। এক পর্যায়ে তার কোনো শব্দ না পেলে দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করেন তারা। পরে ঝুলন্ত অবস্থায় রশি কেটে সজীবের মরদেহ উদ্ধার করেন। দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খুরশীদা বানু কণা জানান, সবীব আত্মহত্যা করেছে। পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে লাশ দাফনের জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন